যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের অভিযান
উপপরিচালকের কক্ষে পাওয়া গেল মদের বোতল
- আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:৪৩:০০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৪ ০১:৪৩:০০ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বুধবার দিনব্যাপী তদারকি অভিযান পরিচালনা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের আসার খবর পেয়ে উপপরিচালক পালিয়ে যান। এসময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালকে কক্ষ থেকে মদের বোতল, তাসকার্ড, মহিলাদের প্রসাধনী ও কাপড়চোপড় উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
উল্লেখ্য, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের লার্নার লাইসেন্স বাবত অতিরিক্ত টাকা আদায়, নতুন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘুষগ্রহণ, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা আত্মসাৎ, নিম্নমানের খাবার পরিবেশনসহ নানা অভিযোগ ছিল প্রশিক্ষণার্থীদের।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল বারি, আলী উসমানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা শহরের নবীনগরস্থ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে যান। খবর পেয়ে উপপরিচালক শাহনূর আলম পালিয়ে যান। এ সময় উপপরিচালক ৫ তলার ভিআইপি কক্ষে আছেন জানতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা তার কক্ষে গিয়ে দেখেন সেখানেও তিনি নেই। পরে কক্ষে তল্লাশি চালাতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদেশি কয়েকটি মদের বোতল, তাসকার্ড, নারীদের প্রসাধনী ও পোষাক উদ্ধার করেন। এসময় ক্ষুব্ধ প্রশিক্ষণার্থীরা তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সমন্বয়ক আব্দুল বারি, আলী উসমানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ তাদেরকে নিবৃত করেন।
এদিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের শিক্ষার্থীদের অভিযানের খবর পেয়ে বিকেলে সাড়ে ৪টায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান সেনা সদস্য, পুলিশ ও বিজিবির একটি দল। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে পুলিশ, সেনা সদস্য ও বিজিবির একটি দল গিয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
উপপরিচালক মো. শাহনুর আলমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ